Thursday, October 22, 2015

জন্ম মৃত্যু আল্লাহর হাতে, তোমাদের কোন শক্তি নেই তা' নির্ধারণের।


১৯৭১ সালের মে মাসের মাঝামাঝি যেদিন মাদারীপুর কালকিনি থানার আড়িয়াল খাঁ নদী দিয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসের হাটের পাশ ঘেঁসে খান সেনাদের গানবোট অতিক্রম করছিল, ঠিক সে মুহূর্তে খাসের হাটে খবর এলো মিলিটারি আসছে, পালাও। আর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সিদ্ধান্ত নিলো"বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মত তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শ্ত্রুর মোকাবিলা করতে হবে" আমরা তাই করলাম, শর্কি ঢাল, বল্লম রামদা ট্যাঁটা ইত্যাদি নিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদীর দিকে ছুটতে শুরু করলাম। নদীর তীরে যেয়ে অপেক্ষা করছি । দেখা গেল একটি অতি পুরাতন গমবাহী কার্গো মাদারীপুরের দিকে যাচ্ছে। তাও থামানো হল। চেক করা হল, দেখা গেল কিছুই নয়। 

গল্পটি এ কারণেই বলছি যে আমাদের বিশেষ করে পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী বীর বাঙ্গালীর দুঃসাহসিক মনোবল এত দৃঢ় যে বাঙ্গালী জাতিকে হারানোর কারো শক্তি নেই বা ছিল না; কাজেই ভয় দেখিও না; মুক্তিরা মরে না; অমর হয় আর জীবন একটাই সেটা না হয় দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করে গেলাম।


হুমকি ধামকির দিন শেষ। যুদ্ধে নেমেছ, হয় মরবে না হয় মারবে। জয় হবে একজনের। যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবার কোন পথ থাকে না। ৭১ এ যুদ্ধে নেমেছি, আজো সে যুদ্ধ চলছে। চলবে যতদিন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলার মাটিতে লুকিয়ে থাকবে। দেশ প্রেমের কথা স্বয়ং দ্বীনের নবী মহা নবী (সঃ) ও বহুভাবে উল্লেখ করেছেন। দেশের জন্য, দেশের পবিত্র মাটির জন্য, বাংলার দুখি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য যারা কাজ করে; তারা গাঁট বেধেই মাঠে নামে। ভয় ভীতি প্রদর্শন, হামলা হত্যা, জ্বালাও পোড়াও কোন রাজনৈতিক দলের মূল আদর্শ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হতে পারে না। আওয়ামী লীগ জ্বালাও পোড়াও রোধে কঠোরতা অবলম্বন করেছে, দমনও করেছে। জাতির উন্নয়ন, জনগণের সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করে; স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষার প্রশ্নে কোন আপোষ নেই; নীতির সাথে দুর্নীতির যেমন কোন আপোষ মীমাংসা হয় না; তেমনি স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথেও আপোষ হওয়া যায় না। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটাই আমার শেষ কথা। আর জীবন ? ওটাতো আল্লাহ্‌ রাব্বুল আল আমীন আমার জন্মের সাথেই লিখে দিয়েছেন। যেদিন মৃত্যু হবে, বিশ্ব ভ্রমান্ডের কোন বৃহৎ শক্তি নেই মৃত্যুকে রোধ করে। আল্লাহ্‌ মহান ও সর্বশক্তিমান। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

No comments:

Post a Comment